বুধবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১২

সাম্প্রতিক রাজনীতি ও টিপাইবাধের পরিণতি

Filled under:

১. ‘মর্ণিং শোজ দ্য ডে’। সকাল বেলার চেহারা দেখেই বলে দেয়া যায় দিনটা কেমন হবে। আওয়ামীলীগ মতায় আসার পর থেকেই বুঝা গেছে তারা কতটুকু করবে দেশের জন্য। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে শুরু হয়েছিল আওয়ামীলিগ সরকারের যাত্রা। আসলে কি তাই; দিন বদলের শ্লোগান দিয়ে নাম বদলের অপশাসন দিয়েই শুরু হয়েছিল তাদের ব্যর্থযাত্রা। দেশের জাতীয় সংসদকে করা হয়েছিল মাছের বাজারে পরিণত। শুরু থেকেই বুঝা গেছে তারা দেশকে অকার্যকর ও ইসলাম শূন্য করার কাজে উঠে পড়ে লেগেছেন। শেষ পর্যন্ত যে ভালো যাবে সেটা ছিল কল্পনাতিত। দেশের জনগণ তখন থেকেই বুঝে ফেলেছে, দেশ  আবারও ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতে চলে গেছে।
দেশের চলমান পরিস্থিতি আইয়্যামে জাহিলিয়্যাতকে হার মানাচ্ছে বলাটা কঠিন মনে হচ্ছে না। এভাবে দেশ চলতে পারে না, চলা উচিৎ নয়। অর্থনৈতিক সঙ্কট চরম পর্যায়ে। শেয়ারবাজারের ুদ্র বিনিয়গকারীরা মাথায় হাত দিয়ে ঘরে ফিরছে। বড় বড় দরপতনের কারণে আতœহত্যা পর্যন্ত করেছে বলে জানা গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে ডামাঢোল পরিস্থিতি। সংবিধানে বিতর্কিত পঞ্চম সংশোধনী। ৯০% মুসলমানের দেশে সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস বাদ। বিতর্কিত ধর্মহীন শিানীতি। কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী নারীনীতি পাশ। অর্থনৈতিক মন্দা বলা চলে শুন্যের কোটায়। দ্রব্য মুল্যের উর্ধ্বগতি অতীতে রেকর্ড় ছেড়ে গেছে। দফায়-দফায় বাড়ছে তৈল-গ্যাসের মূল্য। ভারতকে ট্রানজিটের নামে করিডোর দিয়ে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলী দেওয়ার পর টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে দেশের মানুষ প্রায় ােভের আগুনে জলছে। ফুঁেস উঠেছে আপামর জনগণ। এসব নিয়ে আমাদের মাননীয় সরকারসহ মন্ত্রী-এম.পিরা ‘ নো টেনশন ডু ফুর্তিতে’ মেতে আছেন। বুঝা যাচ্ছে এগুলো দেখা তাদের মোটেই সাবজেক্ট নয়। নিজেদের গদিটান খেলা ও প্রমোশনের নেশায় মত্ত। ইতিমধ্যে দু’একজন সফলও।
এভাবে চলতে থাকলে দেশের রাজনৈতিক সঙ্কট ও সাংবিধানিক জটিলতা ক্রমান্নয়ে বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হবে। বলা নি®প্রয়োজন দেশ এখন চরম সঙ্কটে। মানবতা বলতে এখন কিছু নেই। চোরাচালানী কালোবাজারী চলছে দিনে রাতে। দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমান সরকার প্রতিপকে কিভাবে ঘায়েল করা যায়, হত্যা, মামলা, গুম, দমনপীড়নের মাধ্যমে কিভাবে ধমানো যায় সে টেনশনে মশগুল। প্রশাসনে দলীয়করণসহ সর্বত্র চলছে রাজনৈতিক মেরুকরণ। বলতে গেলে দেশ এখন কার্যত পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। জনগনের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে চালানো হচ্ছে পুলিশি হামলা। যেখানে সেখানে মিথ্যা মামলা দিয়ে ঢোকানো হচ্ছে জেলে। এ যেন এক প্রহসনের রাজনীতি।
ভাইরাসযুক্ত বাংলার রাজনীতির আকাশে কালো ঘোমোট পরিস্থিতি রূপ ধারণ করেছে। সরকারের ফ্যাসিস্ট কার্যক্রমে তাই অনুমেয়
হয়। নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে, দেশ হারাচ্ছে তার ভাবমূর্তি। স্বাধীনাতর ৪০ বছর হলেও এখনও পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ। আধিপত্যবাদীদের শিকার বাংলাদেশ। আগ্রাসী সাম্রাজ্যবাদীদের কবলে বেষ্টিত। এসবের মূলে সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও দাদাগীরির কারণে।
সরকারের কর্মকান্ডে মনে হয় আইয়্যামে জাহিলিয়্যাতকে হার মানাচ্ছে। ফলে হারাচ্ছে জনগণের আস্থা। আসলে জনগণের বিশ্বাস টুটে গেছে। জনগণ এ অবস্থার অবসান চায়। এই দেশ ও ইসলাম বিরোধী ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ চায়। মীর জাফর আর ঘসেটি বেগমের মত এ সরকারকে দূর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে ামতার মসনদ থেকে হঠাতে চায়।
২.
সাম্প্রতি বরাক নদের উপর টিপাইমুখ ড্যাম ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে একটি যৌথ চুক্তি সই হয়েছে। গত ২২ অক্টোবর চুক্তিটি সই হয় দিল্লিতে। এদিকে চুক্তির ব্যাপারে বাংলাদেশকে জানানোর প্রতিশ্র“তি দিয়েছিল ভারত । টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে কোন কিছু হলে বাংলাদেশকে জানানো হবে বলে অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু ওয়াদা ভঙ্গ করে বাংলাদেশকে না জানিয়েই একতরফাভাবে শুরু করেছে তাদের প্রকল্পের সূচনা। শুধু বিদ্যুতের জন্য নয় আসামের কাছাড় জেলায় সেচ ও  বন্যানিয়ন্ত্রণও হবে ওই প্রকল্পে। ২০১০ ও ২০১২ সালে দুই প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে যৌথ ঘোষনায় মনমোহন সিং অঙ্গীকার করেছিলেন, টিপাইমুখে এমন কোন পদপে নেয়া  হবে না, যাতে বাংলাদেশের তি হয়। বাংলাদেশকে না জানিয়েও কিছু করা হবে না, এমনই ফুলঝুড়ি দেয়া হয়েছে বারংবার।
ফারাক্কা বাঁধের ফলে বাংলাদেশের কি তি হয়েছে তা জনগণ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। মরণ বাঁধ ফারাক্কা বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে এগুচ্ছে সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। বাঁধের কারণে একদিকে প্রমত্তা পদ্মা যেমন নাব্য হারিয়েছে, তেমনি দেড় যুগ ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা তীরবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন চলছে। এক সময়ের ভয়াল পদ্মা এখন পানি শূন্য। শুস্ক মৌসুম তো দূরের কথা, বর্ষা কালেও পদ্মায় তেমন পানি নেই। এসব কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচে নামছে। তিস্তা বাঁধের ফলে পানি শুন্য হয়েছে তিস্তা নদী। এবার টিপাইমুখ বাঁধের ফলে মরে যাবে মেঘনা, সাথে সুরমা, বরাক, কুশিয়ারা। মরে যাচ্ছে বাংলাদেশের নদ-নদী, শুকিয়ে যাচ্ছে দেশের সাঞ্জীবনী শক্তি। হয়তো একদিন অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে উঠবে বিশাল ভারতের পায়ের কাছে পড়ে থাকা ছোট্র দেশটির।
বরাক নদীতে টিপাইমুখ বাঁধ দেয়ার কারণে সুরমা ও কুশিয়ারা নদী নাব্য হারাবে এবং সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, বি-বাড়িয়া, নরসিংদী, নারায়নগঞ্জসহ মেঘনা অববাহিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল শুকিয়ে যাবে। সিলেট যে বিশাল এলাকা জুড়ে হাওর রয়েছে তাও শুকিয়ে যাবে। আবার বর্ষাকালে প্রবল বর্ষণের কারণে টিপাইমুখ ড্যামের ওপর যখন পানির প্রবল চাপ পড়বে তখন স্লুইস গেট গুলো খুলে দিলে ভাটির দেশ বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে মারাতœক বন্যার সৃষ্টি হবে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, টিপাইমুখ বাঁধের কারণে গোটা সিলেট অঞ্চলে ভূমিকম্পের আশঙ্কা বেড়ে যাবে। ১০০ বছর অন্তর অন্তর এ অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়। ১০০ বছর গুজরে গেছে। হালাকে যে কোন সময় ভূমিকম্পনের ফলে টিপাইমুখ ড্যাম ধ্বংস হয়ে যাবে। ২৫ থেকে ৩০ ফুট হবে পানির উচ্চতা। বৃহত্তর সিলেট, কিশোরগঞ্জ ও কুমিল্লা জেলার মানুষ এবং বাড়ি-ঘর খড় কুটোর মতো ভেসে যাবে। শেষ কথা টিপাইমুখ বাঁধের পরিণতি হবে বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ জলবোমা, যা এটম-পারমানবিক বোমার চাইতে আরো বেশী শক্তিশালী। সুনামীর মতো ধ্বংস হবে বাংলাদেশ। টিপাই বাঁধের ফলে বাংলাদেশ হারাবে তার জীববৈচিত্র। দেশ হবে মরুভূমিতে পরিণত। ধু-ধু বালুচরে।
 কিন্তু জনগণ সরকারকে নির্বাচিত করেছে আধিপত্যবাদীদের হাত থেকে দেশকে রা করার জন্য। দায়িত্ব দিয়েছে দেশের সার্বভৌমত্ব রার। কি দায়িত্ব পালন করছে সরকার; টিপাইমুখ বাঁধে মতো  এতো বড় একটি বিষয়কে খাটো করে দেখার পেছনে কারণই বা কি? ভারতের বন্ধুত্বের মূল্য দেশের স্বার্থের চেয়ে বেশী? ভারত আমাদের বন্ধু হতে পারে প্রভুতো  আর নয়। যিনি আমল দেবেন আর আমরা কড়ায়-গন্ডায় তার এবাদত করে চলব। কিন্তু আমাদের সরকার প্রতিবারই ভারতকে প্রভুভক্তি করে চলছেন। আমল করছেন ছোট বড় এবাদত গুলো। সরকার ভারতের সুরে সুর মিলিয়ে বলছে, ভারত এমন কিছু করবে না যা বাংলাদেশের জন্য তিকর প্রভাব ফেলবে। তিনি ধামাচাপা দিচ্ছেন দেশের জনতাকে। আশ্বস্ত করছেন আল্তু-ফাল্তু বয়ান শুনিয়ে। দেশের মানুষ প্রতিবাদে ঝড় তুললেও সরকারের নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করার পিছনে রহস্যটা কি? আল্লাহ জানেন। উল্টো এই বাধের পে অবস্থান নিয়েছেন। ভারতের তালে মাতাল হয়ে বলছেন, এই বাঁধে বাংলাদেশের তি হবে না। কিন্তু জনগণকে কখনই কোন সরকার ধামাচাপা দিতে পারে নাই। জনগণের শিা নেয়া আছে। ফারাক্কা থেকে, তিস্তা থেকে। ঐতিহাসিক পলাশীর মহা ট্রাজেটি থেকে। এবার টিপাইমুখ বাঁধের ব্যাপারে কড়া সতর্ক।  জনগণের এই ােভ থামাতে ভারতের পরামর্শে বাংলাদেশ সরকার উচ্চপর্যায়ের একটি টিম পর্যবেক হিসাবে টিপাইমুখে পাঠিয়েছিলেন। সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে গঠিত এই দলে রাজনীতিকরা ছিলেন। বিশেষজ্ঞরা ছিলেন,আমলারা ছিলেন। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে টিপাইমুখে সেদিনের হেলিকাপ্টার ভ্রমনের বিপর্যয়ের কথা খবরের কাগজে ছাপা হয়েছিল চাুস না দেখে বরং দিল্লির ব্রিফিং মাথায় নিয়ে এসে বলেছিলেন- টিপাইমুখ বাঁধে বাংলাদেশের কোন তি হবে না। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সরেজমিনে কিছু না কি পর্যবেণ করতে পারেন নি। ব্রিফিং সত্য হতে পারে এটা কতটুকু মানা যায়? এটাতো আর বি.টি.ভি নয়! সরকার কোন কিছু যাচাই না করে বলেছেন, টিপাইমুখ বাঁধ বাংলাদেশের জন্য কোন তি হবে না।
 ভারত আমাদের ভালো চায়! সে কথা বলব কি করে। সরকারের চোখে বালি পড়তে পারে(?) জনগণের চোখে তো আর নয়। ভারতের কাছ থেকে কি পেয়েছি আমরা? সীমান্তে বর্বরভাবে বি.এস.এফ’র গুলিতে নিরীহ জনগণকে পাখির মতো হত্যা, এগুলো পেয়েছি। ভূমি দখল আর কাটাতারের বেড়া দেওয়ার পরও আমরা ভারতকে কিভাবে বন্ধু বলব? প্রশ্ন অনেক উত্তর নেই। তারা নিজেদের স্বার্থ নিয়েই গদগদ। অন্যের স্বার্থ দেখা তাদের বিষয় না। তারা দেশকে ধ্বংস করার ফন্দি এটেছে। কেনইবা খামোখা টেনশন
করবে? তারা নিজেদের স্বার্থে জন্যই ১৯৭১ এ বাংলাদেশকে অস্ত্র দিয়ে, জনবল দিয়ে সহযোগিতা করেছিল। ৭১ এ ভারতের অনেক গোলক ধাঁ ধাঁ আছে, যাক সেদিকে যচ্ছি না।  ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং টিপাই বাঁধ দিতে অনঢ়। টিপাইমুখে বাঁধ দিবেন বলেই তার একান্ত ঘোষণা। আন্তরর্জাতিক আইন লঙ্গন করে একতরফাভাবে বাংলাদেশকে না জানিয়ে বাঁধ দিতে যাচ্ছেন তিনি।
কাথায় গেল তার  দেয়া প্রতিশ্র“তি? এর পরও কি আমরা বলব, ভারত আওয়ার ডিয়ার ফ্রেন্ড? তারা মনে হয় বাংলাদেশকে ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য মনে করেন। ইশারা দিলেই হলো। বাহ! আমাদের মাননীয় সরকারও জ্বী-হ্যা বলে যা ইচ্ছা তাই উজাড় করে দিচ্ছেন। জনগণের মতামতকে তোয়াক্কা না করেই যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াচ্ছেন। তিনি মনে হয় দাদাভক্তিকে পছন্দ করেন। কথায় আছে ‘একহাতে তালি বাজেনা’। ভারত কি বিনা সুযোগে আশ্রয় পেয়ে প্রশ্রয় করছে। আল্লাহ জানে উনারা কোন চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছেন। আমরা কপালপোড়া জনগণ কি চুপি চুপি ফিসফিস করে বসে থাকবো? দেশের সরকার যখন নিজেই দেশকে করদ রাজ্যে পরিণত করছেন, দেশকে চরম বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন, রাষ্ট্রকে বিকিয়ে দিচ্ছেন বিদেশী প্রভুদের হাতে। তখন কী আর দেশপ্রেমীক জনগণ বসে থাকতে পারে?
ভারত চাইলেই বাঁধ নির্মাণ করতে পারে না। প্রথমত: টিপাইবাঁধের ফলে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্গন হচ্ছে। বরাক যেহেতু আন্তর্জাতিক নদ, সেহেতু টিপাইমুখ বাঁধ দেওয়ার একক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না ভারত। আন্তর্জাতিক হেলসিংকি (১৯৯৬) নীতিমালার ৪ ও ৫ নম্বর অনুচ্ছেদে রয়েছে-‘ প্রতিটি অববাহিকাভুক্ত দেশ, অভিন্ন নদী ব্যবহারের েেত্র অন্য দেশের কোন তি না হয়; সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে’। দ্বিতীয়ত: ভারত বাংলাদেশের ১৯৯৬ সালের গঙ্গা চুক্তিতে শুধু নদীর পানি ভাগাভাগির কথা বলা হয় নি, অভিন্ন অন্যান্য নদীর কথাও বলা হয়েছে। চুক্তির ৯ নম্বর অনুচ্ছেদে দুটি দেশ অভিন্ন নদীর পানি ভাগাভাগির জন্য চুক্তি সম্পাদন করতে একমত হয়েছে। টিপাইমুখ বাঁধ এই চুক্তি বিরোধী। তৃতীয়ত: ১৯৯২ সালের ওয়েট ল্যান্ড কনভেন্শন অনুসারে একতরফাভাবে টিপাইমুখের মতো প্রকল্প গ্রহণের অধিকার ভারতের নেই। চতুর্থ: ২০১০ সালের জানুয়ারী মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহনসিং আশ্বাস দিয়েছেন যে টিপাইমুখ প্রকল্পে ভারত এমন কিছু করবে না, যার তিকর প্রভাব বাংলাদেশের উপর পড়বে।
দেশের জনগণ যখন টের পেয়ে গেছে বর্তমান সরকারের মদদে রাষ্ট্রবিনাশী তথাকথিত ট্রানজিটের নামে ভারতকে করিডোর প্রদান করা হচ্ছে, বাংলাদেশ বিনাশী টিপাইমুখ ড্যাম দেওয়া হচ্ছে তখন আর কেউ বসে নেই। দলমত নির্বিশেষে মাঠে নেমেছে আন্দোলনকামী আপামর জনতা। যে ভাবেই হোক ভারতীয় আগ্রাসন তথা টিপাই বাঁধের মরণ ফাঁদ থেকে বাংলাদেশকে রা করতে হবে। নিজ দেশ ভারতেও আন্দোলন করছে মনিপুর, মিজোরাম ও আসাম রাজ্যের জনগণ।
ইতিমধ্যেই দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন গুলো মিছিল-মিটিং, সভা-সেমিনার, মানববন্ধন ও গনসংযোগসহ বিভিন্ন আন্দোলন করে আসছেন। বিশেষ করে সিলেটজুড়ে শুরু হয়েছে আন্দোলনের তীব্রযাত্রা। দেয়া হচ্ছে লাগাতার কর্মসূচী, পালন করা হচ্ছে হরতাল, লংমার্চসহ কঠোর কর্মসূচী। ক্রমেই বেড়ে চলছে আন্দোলনের গতিশীলতা। টিপাইবাঁধ ইস্যুতে উত্তাল সিলেট। টিপাইমুখ ড্যামকে ইস্যু করে সিলেটের ঝিমিয়ে পড়া বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন গুলোও জেগে উঠেছে। এদিকে ইসলাম ও দেশের স্বার্থে বরাবর রাজপথে সোচ্চার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সংগ্রামী আমীর, ঐতিহাসিক টিপাইমুখ লংমার্চ নেতা, উপমাহাদেশের আধ্যাতিœক রাহবার, আপোষহীন সিপাহসালার মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম ভারত কর্তৃক টিপাইমুখ বাঁঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ডাক দিয়েছেন লাগাতার কর্মসূচী। এরি প্রেেিত ইসলামী আন্দোলন সিলেট জেলা পালন করছে বিভাগীয় মহা সমাবেশ। ,...... এপর্যন্ত এখনও সরকার ঘোমটা পরে পর্দার আড়ালে থেকে আশার বাণী শুনিয়ে আশ্বস্ত করছেন, ফলে টনক নড়ছেনা ভারত সরকারেরও।

Posted By ইবাদ সিদ্দিক৬:৪৭ PM

শনিবার, ২৮ জুলাই, ২০১২

আমাদের দেশে সূফিবাদী সাধকদের অভাব নেই!

Filled under:

আমাদের দেশে সূফিবাদী সাধকদের অভাব নেই!! আগ্রিম তদবিরগুলোও শেখা থাকে! জামেলায় যেন না পরি। কিন্তু আমরা আমজনতা আর কিছু না জানি ইতিহাস তো জানি, আধুনা সাংবাদিক দম্পত্তি মেহেরুন রুনি ও সাগর হত্যা নিয়ে নানান ধরনের ছলছাতুরী চলছে! মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর কী অদ্ভুত উপায়! নামকা ওয়াস্তে তদন্ত চলছে, তাও টালবাহানা প্রায়! এখন পর্যন্ত আসল দোষীদের ধরা হচ্ছেনা, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর মহা অবনতি!! মন্ত্রী এমপিরা খানকায় বসে মজার মজার তদবির দিচ্ছেন, যা শুনে অট্টহাসি দিতে ইচ্ছে করছে।

Posted By ইবাদ সিদ্দিক৮:৩০ AM

বুধবার, ১১ জুলাই, ২০১২

গুমের ভয়ে ঘুম হারাম

Filled under:

ভয় হয়। কখন জানি গুম হয়ে যাই। রাস্তায় বের হলে গুম, ঘরে থাকলে খুন। এই প্রবাদে চলছে বাংলার সম্প্রতির রাজনীতি। হত্যার অধ্যায়ে মহামারি আকার ধারন করেছে। নিরন্তর লুটপাটে অবান্তর মিথ্যাচার। দফায় দফায় দুর্নীতি। এ যেন কারো বাপ দাদার ঔরসজাত সম্পদ, যখন যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভুলে গেলেন কেন? জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। কি ওয়াদা করে ক্ষমতায় আসছিলেন? আপনারা ভালো কিছু করবেন। এই তো? কই কিছুই তো পেলাম না!পেয়েছি, তবে যা চেয়েছিলাম তা পাইনি!! মাথায় পট্টি, হাতে তাসবিহ নিয়ে মানুষকে আশার বাণী শুনিয়ে ছিলেন। মনে হচ্ছিল দ্বিতীয় রাবেয়া বসরী রাঃ(?) আপনি জাতির সাথে যে গাদ্দারী করেছেন তা ভুলার মতো নয়। ইসলামের কথাও বলেছিলেন, কিন্তু আপনি যে বেইমানি করেছেন তা নব্বইভাগ মুসলমান বরদাশত করতে পারেনি। আন্দোলন করেছে। মাননী মহাসয়, এখনো সময় আছে, শুধরাবার দরোজা এখনো খোলা। প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসুন। পূর্ব ইতিহাস সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হোন। আর কিছু না পারেন, জনগণের জান মালের নিরাপত্তা দিন। অন্তত এই কাজটুকু করেন। গুমের ভয়ে আমাদের ঘুম যেনো হারাম না হয়। এই প্রত্যাশা থাক। আপনার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।

Posted By ইবাদ সিদ্দিক৩:২৮ AM