শনিবার, ২৮ জুলাই, ২০১২

আমাদের দেশে সূফিবাদী সাধকদের অভাব নেই!

Filled under:

আমাদের দেশে সূফিবাদী সাধকদের অভাব নেই!! আগ্রিম তদবিরগুলোও শেখা থাকে! জামেলায় যেন না পরি। কিন্তু আমরা আমজনতা আর কিছু না জানি ইতিহাস তো জানি, আধুনা সাংবাদিক দম্পত্তি মেহেরুন রুনি ও সাগর হত্যা নিয়ে নানান ধরনের ছলছাতুরী চলছে! মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর কী অদ্ভুত উপায়! নামকা ওয়াস্তে তদন্ত চলছে, তাও টালবাহানা প্রায়! এখন পর্যন্ত আসল দোষীদের ধরা হচ্ছেনা, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর মহা অবনতি!! মন্ত্রী এমপিরা খানকায় বসে মজার মজার তদবির দিচ্ছেন, যা শুনে অট্টহাসি দিতে ইচ্ছে করছে।

1 মন্তব্য(গুলি):

  1. পীরকে অনুসরণ কিংবা তার কথা শোনা যাবে ততটুকুই যতটুকু কুরআন ও হাদিসের অনুকুলে হয়।তবে,কোন পীর যদি ইসলাম সম্বন্ধে জ্ঞানী হন তাহলে,শিক্ষাগ্রহণের জন্য তার কাছে যাওয়া যেতে পারে।

    কোন পীরের কাছে যাওয়ার পরিবর্তে অন্য কোন আলেমের কাছেও শিখতে যাওয়া যেতে পারে।
    আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:”তোমরা যদি না জেনে থাক তাহলে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞাসা কর।”(সুরা নাহল:৪৩)

    আর এ কাজটা যেকোন জ্ঞানী আলেমের কাছে গেলেই হবে।হোকনা সে পীর কিংবা অন্য কোন আলেম।তবে,যে পীর প্রকাশ্যে ইসলামবিরোধী কাজ করেন তাকে কস্মিনকালেও যে অনুসরণ করা যাবে না;এ কথাটা বলাই বাহুল্য।

    অনেকে বলে থাকে “যার পীর নেই তার পীর শয়তান”।আসলে এ ধরণের কথা হয়ত কোন পীরভক্তের আবেগ প্রসুত কথা হতে পারে যার সাথে কুরআন হাদীসের কোন সম্পর্ক নেই।

    অথচ,কুরআন শরীফে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:
    ১. وَمَن يُطِعِ اللّهَ وَرَسُولَهُ يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ

    অর্থাৎ,যে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ)এর অনুগত্য করবে,তাকে আল্লাহ তায়ালা এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন,যার নিচ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হবে,সেখানে তারা থাকবে চিরকাল।আর এটিই সবচেয়ে বড় সাফল্য। (সুরা নিসা: ১৩)

    ২.আল্লাহ বলেন:
    وَمَن يُطِعِ اللّهَ وَالرَّسُولَ فَأُوْلَـئِكَ مَعَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللّهُ عَلَيْهِم مِّنَ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاء وَالصَّالِحِينَ وَحَسُنَ أُولَـئِكَ رَفِيقاً

    অর্থাৎ,যে আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য করবে তারা নবী,সিদ্দীক,শহীদ ও সৎকর্মশীল তথা যাদেরকে আল্লাহ তায়ালা পুরস্কৃত করেছেন তাদের সাথী হবে। এরা কতই না চমৎকার সংগী।(সুরা নিসা: ৬৯)

    ৩. وَمَن يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَخْشَ اللَّهَ وَيَتَّقْهِ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْفَائِزُونَ অর্থাৎ,যারা আল্লাহ ও তার রাসূলের হুকুম মেনে চলে,আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর নাফরমানী করা থেকে দূরে থাকে,ওরাই সফলকাম। (সুরা নুর: ৫২)

    ৪. وَمَن يُطِعْ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزاً عَظِيماً অর্থাৎ,আর যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালা ও তার রাসুলের আনুগত্য করবে সে নিশ্চিত সফলকাম হয়েছে। (সুরা আহযাব: ৭১)

    ৫. وَمَن يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ وَمَن يَتَوَلَّ يُعَذِّبْهُ عَذَاباً أَلِيماً অর্থাৎ, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে,আল্লাহ তায়ালা তাকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন,যার নিম্নদেশে ঝর্ণাধারাসমূহ প্রবাহমান থাকবে।আর যে মুখ ফিরিয়ে নেবে আল্লাহ তাকে মর্মান্তিক আযাব দেবেন। (সুরা ফাতহ:১৭)

    উপরের আয়াতগুলো থেকে আমরা শিক্ষাগ্রহণ করতে পারি যে,কারও মুরীদ হোক বা না হোক কুরআন ও হাদীসানুযায়ী আমল করলেই দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা পাওয়া যাবে ইনশাল্লাহ।

    উত্তরমুছুন